মহামারী করোনা বিশ্ব অচল, দেশী বিদেশি বিনিয়োগ খুব কম। শিল্প কলকারখানা প্রায় সব বন্ধ হয়ে যাওয়া বেকারের সংখ্যা খুব দ্রুত বেড়ে চলে। দেশের অর্থনীতি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সরকার দুই দফায় ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দেয়। ছোট বড় ক্ষুদ্র সকল ব্যবসায়ীদের ঋণ ব্যবস্তা করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার সরকারের লক্ষ্য। দেশের পেক্ষাপটে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে বেশির ভাগ কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় । কৃষি ক্ষেত্রে সারাবছর কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকে না। করোনা কালীন মোট বেকার হয়েছে মোট ৫৩ লাখ।
সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের সহযোগী এক সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন করে মহামারী না আসলে ২০২৩ সালের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি গতিশীল হবে।
যদি নতুন করে মহামারী সামনে আসে তাহলে বিশ্ব অর্থনীতি গতিশীল হতে সময় লাগবে।
এদিকে সরকারের প্রণোদনা পেকেজে কৃষি থেকে শুরু করে ক্ষুদ্র ছোট বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান, সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান গুলো এর আয়াতে থাকলেও ক্ষুদ্র, কৃষি ও ছোট উদ্যোক্তারা , অতচ তাদের চাঙ্গা না করতে পারলে বৃহত্তর বেকার সমস্যা দূর করা একেবার অসম্ভব।
মহামারি কারনে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ক্ষুদ্র শিল্প, ছোট ব্যবসায়ী সেবা কৃষি খাতের জড়িত সকলে।
২০২০ সালে দেশের অর্থনীতিতে সবচেয়ে বড় সংকট ছিলো, সরকারের পক্ষ থেকে সংকট নিরসনের পদক্ষেপ নিলেও বিভিন্ন ব্যাংক ঋণের আবেদন করতে পারেনাই বিভিন্ন শর্তের বেড়াজালে। এই সকল ক্ষুদ্র ও ছোট ও কৃষি খাত বিনিয়োগ না করতে পারায় নতুন করে তেমন কোন কর্মসংস্থানর সৃষ্টি হয়নি।
সাম্প্রতিক আইএলওর মতে, বাংলাদেশে করোনায় ১৬ লাখ ৭৫ হাজার কর্মী কাজ হারিয়েছে। এদিকে একটি বেসরকারি গবেষণা ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের মতে প্রতিবছর নতুন করে শ্রম বাজারে যুক্ত হন ২৪ লাখ ৩৪ হাজার কর্মী। এই হিসাবে গত দেড় বছর মহামারী চলাকালীন সময়ে নতুন করে বেকারের সংখ্যা যোগ হয়েছে ৩৬ লাখ ৭৫ হাজার মানুষ।
সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য বিভিন্ন মেয়াদ ভিত্তিক ঋণ দেওয়ার কথা থাকলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান গুলো সব সময় ছোট, ক্ষুদ্র, কৃষি খাতে ঋণ না দেওয়ার কারণে দেশের একটি বড় অংশ বেকার থেকে যাচ্ছে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।